যশোরে পঙ্গু সেবা কেন্দ্রে ডা. নজরুল ইসলামের ত্রুটিপূর্ণ অপারেশনে রসুল ওরফে রাসেল ( ৩৬) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। অপারেশনের আগে ডা. নজরুল নিজেই রোগীর অ্যানেস্থেসিয়া দেন। রাসেল যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের তরফদার পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় মৃতের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে হট্টগোল করেন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, রাসেল দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে (মালয়েশিয়া) ছিলেন। কয়েকমাস আগে সেখানে একটি দুর্ঘটনায় তার উরুর হাড় ভেঙে যায়। কিছু দিন আগে অসুস্থ অবস্থায় তিনি দেশে ফিরে আসেন। গত ২৯ জুলাই রাসেলকে আনা হয় যশোর শহরের জেল রোডে অবস্থিত পঙ্গু সেবা কেন্দ্রে। সেখানকার মালিক ডা. নজরুল ইসলাম রোগী দেখে অপারেশনের পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী ৩০ জুলাই বিকেলে রাসেলকে পঙ্গু সেবায় ভর্তি করা হয়।
স্বজনরা আরও জানায়, রাত ২ টার পর নজরুল ইসলাম রোগীকে অপারেশন কক্ষে নেন। অপারেশন শেষ করেন ভোর ৪ টার দিকে। অপারেশনের পর থেকে রাসেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে বলা হয় সমস্যা নেই ঠিক হয়ে যাবে। এরপর সকাল পৌনে ১০ টার দিকে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়। পরে ১০ টা ১০ মিনিটে মারা যান রাসেল। তার মৃত্যুর পর স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সেখানে ব্যাপক হট্টগোল করে তারা। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে ডা. নজরুল ইসলাম গা ঢাকা দেন।
মৃতের স্ত্রী জানান, তার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় পঙ্গু সেবায় ভর্তি করা হয়। কখনো ভাবতে পারিনী তার লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর জন্য তিনি ডা. নজরুল ইসলামকে দায়ি করেছেন।
এই বিষয়ে ডা. নজরুল ইসলাম জানান, অপারেশনে কোন ত্রুটি ছিলোনা। সফল অপারেশনের পর তাকে বেড়ে পাঠানো হয়। হাসপাতালের এত টাকা বিল পরিশোধ করবেন কিভাবে এমন চিন্তায় রোগী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনরা হট্টগোল করে অপারেশনের বিলও দেননি। আপনি নিজেই রোগীর অ্যানেস্থেসিয়া দিলেন কিভাবে প্রশ্নে জানান, অ্যানেস্থেসিয়ার ওপর তার কোর্স করা আছে।