ইসলামে শাসনক্ষমতা কঠিন বোঝা। এই বোঝা বহনের যোগ্যতা না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরিবর্তে দুঃশাসন ও জুলুম কায়েম হয়। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ সাধনকে মূল লক্ষ্যে রেখে রাষ্ট্রীয় কর্মযজ্ঞ যথাযথ সম্পন্ন করার যোগ্যতাই ইসলামে শাসকের মূল বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা মুসলিম শাসকের প্রতি অনেক গুরুদায়িত্ব অর্পন করেছেন। এমন ১৩টি দায়িত্ব নিচে তুলে ধরা হলো।
১. আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে ও জারি রাখতে চেষ্টা করা, ২. আল্লাহর নাজিল করা বিধান অনুযায়ী বিচার করা, ৩. সালাত প্রতিষ্ঠা করা, ৪. জাকাত আদায় ও বণ্টন করা, ৫. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা, ৬. আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা, লেখনী, অস্ত্রশস্ত্রসহ লড়াই করা, ৭. মুসলিম শিশুদের লালন-পালন, পরিচর্যা ও শিক্ষাদীক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, ৮. অসহায় প্রতিবন্ধীদের সহায়তা প্রদান করা, ৯. মানুষের মধ্যে সাম্য-ইনসাফ কায়েম করা, ১০. বিদ্রোহী ও অন্যায়-অত্যাচারকারীদের প্রতিহত করা, ১১. অত্যাচারিত ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার আদায় করে দেওয়া, ১২. জনগণের জীবন-জীবিকা ও পার্থিব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা, ১৩. ইনসাফ ও সমতার ভিত্তিতে জনগণের মধ্যে অর্থ বণ্টন করা ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা এমন লোক, যাদের আমরা যদি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করি, তাহলে তারা সালাত কায়েম করে, জাকাত আদায় করে, সৎকাজের আদেশ দেয় ও অসৎ কাজে নিষেধ করে। আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহর ইচ্ছাধীন।’ (সুরা হজ: ৪১)
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, নিশ্চয়ই তা (শাসনক্ষমতা) আমানত এবং নিশ্চয়ই তা কেয়ামতের দিন অপমান ও আফসোসের কারণ হবে। তবে তার জন্য নয়, যে উহার হক বুঝে উহাকে গ্রহণ করবে এবং ওই সম্পর্কিত তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। (মুসলিম: ৪৬১৩)